ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলায় অবৈধ ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে গাছ

অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা উপজেলায় দাঁওগাও ইউনিয়ের সাবানিয়া মোড়ে বলাকা ইট ভাটায় আক্তারুজ্জামান বাবুল এর
বলাকা দুইটি ইট ভাটায় চলছে গাছ দিয়ে পোড়ানো, ভাটা গুলো গড়ে উঠেছে জনবসতি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান লাগোয়া ও ফসলি জমিতে। ইট ভাটার ধোঁয়ায় আশপাশের কৃষকেরা ফসল চাষ করতে পাচ্ছে না। উপজেলার সাবানিয়া মোড়ে বলাকা ইট ভাটা,মাস্টার ইট ভাটা সহ বেশ কিছু ইট ভাটা দেখলে মনে হয় কাঠ দিয়ে ও কয়েল লাকড়ী দিয়ে ইট পোড়ানো হিড়িক।
বাংলাদেশ সরকারের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৩ ও উচ্চ আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করে চলছে ইট ভাটা। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ও (নিয়ন্ত্রন) আইন ২০১৩ এর ৬ ধারায় উল্যেখ রয়েছে, কোন ব্যক্তি ইট ভাটায় জ্বালনি হিসেবে কাঠ ব্যবহার করতে পারবেন না।
একই আইনের ১৬ ধারায় আইন অমান্য করলে আইন অমান্য করলে অনাধিক ৩ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৩ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন। আইনের ৪ ধারায় জেলা প্রশাসকের অনুমতি ব্যতিত কোন ইট প্রস্তুত করা যাবেনা। ৫ নং ধারায় কৃষিজমি বা পাহাড় , টিলা ভুমি, কেটে মাটি সংগ্রহ করা যাবেনা। এসব আইনের থোরায় তোয়াক্কা করেন ইট ভাটা মালিকরা। বাংলাদেশ সরকারের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৩ মহামান্য হাইকোর্ট
আইন ধোয়াক্কা করেন না মুক্তাগাছার ইট ভাটার মালিক রা, মুক্তাগাছা উপজেলায় দাঁওগাঁও ইউনিয়েনের সাবানিয়া মোড়ে দুইটি ইট ভাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানছেন না কেউ। মুক্তাগাছা কোন ইট ভাটার অনুমোদন নেই। প্রচলিত আইনে জনবসতি, ফসলি জমি, বনজঙ্গল ও পাহাড় কেটে ইটভাটা নির্মাণে কড়া বিধিনিষেধ থাকলেও তা অমান্য করেই এই ইটভাটার কার্যক্রম চলছে। চলছে পাহাড় কাটার হিড়িক।

এছাড়াও ইট ভাটাগুলোতে যেন কাঠ পোড়ানোর মহোৎসব চলছে। ইট ভাটাগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। জ্বালানী হিসেবে কাঠ ব্যবহৃত হওয়ায় উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। কোন রকম পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে ভাটা গুলো। মুক্তাগাছা এলাকায় এসব ইট ভাটা অবৈধ।
তবে এসব ইট ভাটায় পুরোদমে তৈরি হচ্ছে ইট। ব্যবহার হচ্ছে অটো বাঙ্গা চিমটি। কাটা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি। বাংলাদেশ সরকারের ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৩ এর উর্ধে ইট ভাটা মালিকরা। তাই, সরকার ও আদালতের আদেশ অমান্য করলেও নেওয়া হয়না আইনগত ব্যবস্থা। প্রতিটি ভাটায় বিপুল পরিমান কাঠ মজুদ করা হয়েছে পোড়ানোর জন্য। এসব ভাটা থেকে নির্গত কালো ধোয়ায় আকাশ কালো রং ধারন করে।

ভাটায় কাঁচামাল হিসেবে কৃষি জমির উপরিভাগের (টপসয়েল) মাটি ও বলাকা ইট ভাটায় ১নং খতিয়ানে পাহাড়ী বনের লাল মাটি কেটে আনছে ব্যবহার হচ্ছে ইট তৈরী জন্য ও জ্বালানী হিসেবে বনের কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। কচি গাছ পুড়িয়ে ইট বানানোর ফলে উজার হচ্ছে বন। ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে বনভুমি। ব্যবহার করা হচ্ছে সনাতন পদ্ধতির ভাঙ্গা অটে চিমনি। জ্বালানী হিসেবে কয়লার ব্যবহার করার কথা থাকলেও আইনের কোন তোয়াক্কাই করছে না ইট ভাটার মালিকরা। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।
আক্তারুজ্জামান বাবুল গং দের দ্বারা হুমকির মুখে পরিবেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *