বরিশালে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, গ্রেপ্তার ২

মফস্বল

ডেস্ক : বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর এলাকায় দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী তামান্না আক্তারকে (৯) ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। মঙ্গলবার (১৪ মে) ফরিদপুর জেলার কোতয়ালী থানার চুনাঘাট বাজার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব ৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী জুবায়ের আলম শোভন।

গ্রেপ্তাররা হলেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার মাদারশী এলাকার বাসিন্দা তাওহীদ হাওলাদার (৩০) ও তার বাবা সুলতান হাওলাদার (৫০)। তামান্না আক্তার বাবুগঞ্জ উপজেলার আগরপুর এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। গ্রেপ্তাররা নিহতের স্বজন। এর সুবাদে ২ মে উজিরপুর পৌরসভার হাসপাতাল রোড এলাকায় তার খালার বাড়িতে বেড়াতে যায় তামান্না।

জানা গেছে, তামান্না আক্তারের মায়ের ফুফাতো ভাই উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য সুলতান হাওলাদার। আত্মীয়তার সূত্র ধরে গত ২ মে সুলতান হাওলাদারের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান তামান্নাকে। এরপর ৩ মে দুপুরে সুলতান হাওলাদারের ভবনের ছাদ থেকে তামান্না আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ এনে সুলতান হাওলাদারসহ তার পরিবারের পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন।

র‌্যাব জানায়, ছায়া তদন্তে নেমে জানতে পারে সুলতান হাওলাদারের ছেলে তাওহীদ হাওলাদার তামান্নাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। তামান্না চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে নির্মমভাবে হত্যার পর ভবনের সিঁড়ির রুমে টিনের চালার রুয়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখেন। তাওহিদের পরিবারের লোকজন পরিকল্পিত ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য আত্মহত্যার গল্প সাজায়। এ ঘটনায় মামলা হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। পরে তামান্নার স্কুলের সহপাঠী, শিক্ষক, অভিভাবক, আত্মীয়—স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বাবুগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।

র‌্যাব অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের পর উজিরপুর থানায় হস্তান্তর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *