ডেস্ক: চালকের মাধ্যমে পিএসসির চেয়ারম্যানরা টাকা নিতেন কি না তা সরকারকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে হাইকোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শিক্ষার্থীদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং প্রশ্নফাঁস নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানের চালকসহ বেশ কয়েকজন গ্রেপ্তার হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, প্রশ্নফাঁসে পিএসসির চেয়ারম্যানরাও জড়িত ছিলেন কি না সেটি খতিয়ে দেখতে হবে। ড্রাইভারের মাধ্যমে তারা টাকা নিতেন কি না সরকারকে তা গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে।
তিনি বলেন, আবেদ আলী যে স্টেটমেন্ট দিয়েছেন সেখানে বলেছেন, প্রশ্নফাঁসের যে টাকা ইনকাম করেছেন, সেই টাকা আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করেছেন। এর চেয়ে দুঃখজনক কথা বা এ রকম দেশ পৃথিবীর কোথাও নেই। তিনি অবৈধ টাকা আয় করে সগৌরবে কথা বলছেন।
প্রশ্নফাঁস তদন্তে কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সুমন বলেন, বাংলাদেশে কমিটিদের আমি বেশি ভয় পাই। যারা চোর, পুলিশ তাদের ধরবে। কমিটি করার দরকার কী। কমিটি করা মানে ঘটনা হজম করার জন্য সময় নেওয়া।
কোটাবিরোধী আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাত্ররা সারাদেশে কোটার জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এরা কি জানে, সবচেয়ে বড় কোটা ‘চোর কোটা’, ‘দুর্নীতিবাজ কোটা’। এই কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করলে আমরা সব সুবিধা পেতাম।
৩৩ থেকে ৪৬তম বিসিএস পর্যন্ত যেসব কর্মকর্তা এই পদ্ধতিতে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের খুঁজে বের করার দাবি জানান ব্যারিস্টার সুমন।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তিনি উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান ব্যারিস্টার সুমন।