ডেস্ক : তিন দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ডিম ও বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। ডিম খাচিপ্রতি ২০ টাকা কমে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সবজিতে প্রকারভেদে ২০ থেকে ১০০ টাকা কমেছে। বর্তমানে বেগুন কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে ৫০ টাকা, পটল কেজিপ্রতি ২০ টাকা কমে ৩০ টাকা, করলা কেজিপ্রতি ৫০ টাকা কমে ৮০ টাকা, সিম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা কমে ১২০ টাকা এবং পাতা কপি ও ফুল কপি কেজি প্রতি ৬০ টাকা কমে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।বুধবার (৬ নভেম্বর) সকালে হিলি বাজার ঘুরে জানা যায়, বাজারে সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমতে শুরু করেছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। তবে সবজির দাম কমলেও আলু এবং পেঁয়াজের দাম না কমার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সাধারণ মানুষ।হিলি বাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে কাঁচাবাজারের মধ্যে সবজির দাম কমেছে। বিভিন্ন প্রকার সবজিতে দাম কমার কারণে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে আমাদের মাঝে। তবে পেঁয়াজের বাজারে এবং আলুর বাজারে কোনোভাবেই দাম কমেছে না। বরং দিন দিন দাম বেড়েই চলেছে। দাম বৃদ্ধির কারণে সব থেকে বেশি দায়ি কিছু কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী। এদের বিরুদ্ধে কঠোর নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে।হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, গত কয়েক দিন থেকে হিলির বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। যার জন্য কিছুটা দাম কমেছে। আগের থেকে ক্রেতা অনেক বেড়েছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি।মোকামে শীতকালীন সবজি বেশি ওঠার কারণে দাম আরও কমে যাবে বলেও জানান তিনি।এ দিকে ডিম বিক্রেতা সুলতান মাহমুদ বলেন, এক সপ্তাহ আগে ডিমের দাম কিছুটা বেশি ছিল। বর্তমানে খামার মালিকরা ডিমের দাম কমিয়ে দিয়েছে, যার জন্য খাচিপ্রতি (৩০টি ডিম) ২০ টাকা কমেছে। বর্তমানে খাচিপ্রতি ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে শীত মৌসুমে দাম কমবে কিনা তা এখন বলা যাচ্ছে না। ডিমের দাম কমলেও আগের মতো ক্রেতা নেই।