রিপোর্টার : গণমুক্তি জোট অদ্য ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের দ্বিতীয় তলায় জহুর হোসেন চৌধুরী হলে “গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যের বিকল্প নেই”শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ।উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির আসন অলঙ্কিত করেন প্রাক্তন এমপি এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মোঃ ফজলুর রহমান এবং মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড সাইফুল হক। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন গণমুক্তি জোটের উপদেষ্টা ড. মোমেনা খাতুন, জোটের মুখপাত্র সাবেক সচিব জনাব কাসেম মাসুদ, কো-চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ.আর খান, গণমুক্তি জোটের সমন্বয়ক এডভোকেট মাহবুব মোর্শেদ মজুমদার, মণি মোহন বিশ্বাস, মমতাজ উদ্দিন মজুমদার প্রমুখ প্রধান সমন্বয়ক মো: আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় উপস্থিত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন গণমুক্তি জোটের সমন্বয়ক রশিদ মিয়া। এছাড়া বিভিনড়ব রাজনৈতিক এবং সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনায় অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিকে প্রানবন্ত করে তোলেন।এ্যাড. ফজলুল রহমান, প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন ৭১ এর চেতনা কে মেনে নিয়েই রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করলেই চব্বিশ এর গণ অভ্যূথান সফল হবে। কমরেড সাইফুল হক প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বলেন রাজনৈতিক ভিন্নতা ও বৈচিত্র্যের মধ্যেই আমাদেরকে জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। রাজনৈতিকসহ নানা বিষয়ে আমাদের মধ্যে এক পার্থক্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্য, জাতীয় স্বার্থ, জাতীয় নিরাপত্তা ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।সভাপতির বক্তব্যে গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহ্রিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ বলেন যে, ৫ আগষ্ট ২০২৪ ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ পেয়েছি। এতে কোন সন্দেহ নাই যে, দীর্ঘ ১৬ বছর বিরোধী দলীয় সকল রাজনৈতিক দলসমূহ আন্দোলনে মাঠে থেকেছে, আন্দোলন গড়ে তুলে ৫ই আগষ্টের পটভূমি তৈরি করেছে। এই গণ অভ্যুত্থান স্বাধীনতাকামী সকল মানুষের জীবনে এক আশার আলো জাগ্রত করেছে। ইতিমধ্যে আমরা দেখছি পতিত স্বৈরাচার নানা কৌশলে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে, এমনকি বিভিন্ন গন বিরোধী কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে। আমরা সকলে বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ না থাকি এবং ছাত্র জনতা যদি আমাদের পাশে না থাকে তাহলে আমাদের এই মূল্যবান প্রাপ্তি বেহাত হয়ে মুক্ত বাংলাদেশ পুণরায় স্বৈরাচারের রাহুগ্রাসে পড়তে পারে। তাই আমি সকল সংগ্রামী রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি এবং আমাদের ছাত্র ভাই-বোনদের সংগ্রামী চেতনাবোধ জাগ্রত রেখে কর্মতৎপর হয়ে দেশ ও রাষ্ট্রের প্রতি দ্বায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
