অনলাইন ডেস্ক ॥
প্রযুক্তিতে চীন আবারও তাক লাগাল বিশ্বকে। হুবেই প্রদেশের শিজিগুয়ান এলাকায় নির্মিত হয়েছে এক বিশাল ভাসমান ব্রিজ, যা দেখতে ঠিক সাপের মত যেনো এটি পানির ওপরই সাপের মতো এঁকেবেঁকে এগিয়ে চলেছে। চোখ ধাঁধানো এই সেতুটি শুধু চীনের নয়, বরং পুরো বিশ্বের নজর কাড়ছে। ব্রিজটি তৈরি করা হয়েছে এমনভাবে, যেন পর্যটকরা হাঁটতে হাঁটতে অনুভব করতে পারেন তারা যেন সত্যিই পানির উপর দিয়ে চলছেন। কৃত্রিম হলেও এই ‘পানির পথ’ যেন প্রকৃতির সঙ্গে এক গভীর সংযোগ ঘটিয়েছে। চীনের গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, হুবেই প্রদেশের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বনাঞ্চলের একাংশে অবস্থিত এই ভাসমান সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৫০০ মিটার, আর প্রশস্ততা ৪.৫ মিটার। নদীর ওপর এঁকেবেঁকে গড়ে ওঠা এই সেতুতে একসঙ্গে ১০ হাজারের বেশি মানুষ চলাচল করতে পারেন এমনই দাবি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের। ব্রিজটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে উচ্চঘন পলিমার ফ্লোটার, যা পানির উপর ভেসে থাকতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এতে জার্মান প্রযুক্তির অ্যান্টি-রোলওভার ডিজাইন রয়েছে, যা চলাচলের সময় ভারসাম্য রক্ষা করে এবং দুলুনি কমায়। ইতোমধ্যেই চীনা পর্যটকদের মাঝে সেতুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। কেউ কেউ একে বলছেন “ভাসমান মিরাকল”, কেউ বলছেন “পানির উপর স্নিগ্ধ পদযাত্রা”। ইতিমধ্যে ভাসমান সেতুটির ভিডিও ক্লিপ ও ছবি ভাইরাল হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষ করে ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে ঘন সবুজ পাহাড়ঘেরা নদীর বুক চিরে ঝিকিমিকি আলোয় সাজানো এঁকেবেঁকে চলা এই ব্রিজ যেন কোনো সিনেমার সেট!বিশ্বে এর আগে এমন কিছু ভাসমান সেতু নির্মাণ হলেও, এমন দীর্ঘ ও পর্যটন-উপযোগী সেতু বিরল। চীনের এই সেতু শুধু প্রযুক্তির উদাহরণ নয়, বরং প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে মানব নির্মিত নান্দনিকতার সংমিশ্রণ। চীন বহুদিন ধরেই অবকাঠামো ও প্রযুক্তি উন্নয়নে বিস্ময় সৃষ্টি করে আসছে। শিজিগুয়ানের এই ভাসমান সেতুও তার ব্যতিক্রম নয়। এটি শুধু এক আশ্চর্য নির্মাণ নয়, বরং একটি বার্তা যে “প্রযুক্তি ও প্রকৃতি একসঙ্গে হাঁটতে পারে, আর মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে পারে”।
