অনলাইন ডেস্ক ॥
শিমুর এমন সুন্দর রেজাল্ট শুনে তার স্কুলের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও তার বাবা মা আনন্দিত। এক প্রশ্নের জবাবে প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি স্কুল এর কর্নধার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, এসএসসি পরীক্ষা ২০২৫ এ সর্ব্বোচ্য নম্বরের ভিত্তিতে শরীয়তপুর জেলায় ১ম স্থান অধিকার করেছে প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি স্কুল এর শিক্ষার্থী তাসফিয়া আক্তার শিমু। শিমু প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি স্কুল এ ৪র্থ শ্রেণীতে ভর্তি হয়। সে ১৯ সালে অনুষ্ঠিতব্য পি এসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ সহ ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিল। এ ছাড়া শিমু জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অসংখ্য প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অধিকার করেছে। শিমু শরীয়তপুরের গর্ব। প্যাসিফিক পরিবারের পক্ষ থেকে শিমুকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সেরা কলেজে ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক বলেন, বিগত দিনে প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীরা দেশ সেরা কলেজ, যেমন- নটরডেম কলেজ, হলিক্রস স্কুল এন্ড কলেজ, বীর উত্তম শহীদ ল্যা, গালার্স কলেজ, বি এফ শাহীন কলেজ, মুন্সি আব্দুল রউফ স্কুল এন্ড কলেজ, বীশ্রেষ্ট নুর মোহাম্মদ স্কুল এন্ড কলেজ ও মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজ সহ দেশ সেরা কলেজে ছাত্র ছাত্রীগন ভর্তি হওয়ার সুযোগ পয়েছে। আমি প্রত্যাশা করি এবারও এর ধারাবাহিকতা বজায়ে থাকবে। তিনি আরোও বলেন, ইতোপুর্বে প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভেদরগঞ্জে সবচেয়ে বেশি বৃত্তি পেয়েছে আগামীতেও সফলতার শীর্ষে থাকার প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি। ২০২২ সালে সাইদ আবদুল্লাহ ভেদরগঞ্জ উপজেলায় সেরা রেজাল্ট করেছে এবং ২০২৩ সালে সাবরিন জাহান উপজেলায় সোর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। এবার তাসফিয়া আক্তার শিমু জেলায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে ১ম হয়েছে। আগামীতে শীর্ষ স্থান ধরে রাখার জন্য আমি ও আমার শিক্ষকবৃন্দ প্রান্তকর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। এত এত সফোলতার মাঝেও অপ্রাপ্তির ঢেকুর রয়েছে, কারণ আমাদের ৭৯, ৬৯ অর্থ্যাৎ উন এর যাতাকলে অনেক শিক্ষার্থী পিষ্ট। কয়েকজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে সোয়েব মাহমুদ সে জিপিএ ৪.৯৬ পেয়েছে, তার সর্বমোট নম্বর ১১১৫। সাধারণ গণিতে ৯৯, উচ্চতর গণিতে ৯৯, বিশ্ব পরিচয়ে ৭৯ পেয়েছে। তার মতো ১৩ জন শিক্ষার্থী A+ থেকে হোচট খেয়েছে।
শিমুর স্বপ্ন বড় হয়ে একজন ডাক্তার হবে। এসময় শিমুর জন্য তার বাবা মা সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এসময় স্কুলটির সকল শিক্ষক ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।
