মোহাম্মদ ইদ্রিস: ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে ৫ ও ৬ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুই দিনব্যাপী এক মনোমুগ্ধকর আর্ট এক্সিবিশন অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীর মূল থিম ছিল — গ্লোবাল পিস (বিশ্ব শান্তি)”।
প্রথম দিনেই বিশ্ববিদ্যালয় অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে উৎসবমুখর। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল শিল্পচর্চা, কল্পনা ও মানবতার প্রকাশে পরিপূর্ণ এই প্রদর্শনীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। তাঁদের চিত্রকলা, ক্রাফট ও রন্ধনশিল্পে প্রতিফলিত হয়েছিল শান্তি, সৌন্দর্য ও সংস্কৃতির অনন্য সমন্বয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি শিল্পকলার নান্দনিক শক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করেন এবং ভারতে তাঁর ডক্টরেট অধ্যয়নের সময়কার শিল্প-অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। তিনি উল্লেখ করেন, “শিল্প মানুষের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও মানবতার প্রকাশ ঘটায় — যা বিশ্ব শান্তির অন্যতম ভিত্তি।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এ. এস. এম. শফিকুল্লাহ, যিনি তাঁর বক্তৃতায় বাংলাদেশের চারুকলার পথিকৃৎ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন-এর অবদানের কথা স্মরণ করেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ড. মিজানুর রহমান, বিভাগীয় প্রধান, ইংরেজি বিভাগ; এবং ড. মো. শাহ আলম, ডিন (আর্টস অনুষদ) ও প্রফেসর মোস্তফা জালাল ডিন ( ব্যবসায় অনুষদ)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ চিত্রশিল্পীরা অতিথিদের প্রদর্শনীর বিভিন্ন শিল্পকর্ম ঘুরিয়ে দেখান এবং তাঁদের ভাবনা, কল্পনা ও শিল্পচর্চার গল্প শেয়ার করেন। অতিথিরা শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও শিল্প-দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করেন।
প্রদর্শনী শেষে অংশগ্রহণকারী চিত্রশিল্পী, স্বেচ্ছাসেবক এবং উদ্যোক্তাদের হাতে মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ এবং অন্যান্য অতিথিবৃন্দ সার্টিফিকেট প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিবৃন্দ প্রদর্শনী আয়োজনে যুক্ত সকল শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদ জানান। বিশেষভাবে প্রশংসা করা হয় রূপম সূত্রধর, মারজিয়া, ফুয়াদ মুজিব, বোরহান উদ্দিন, মরিয়ম বেগম, নিশাত, আনিসা চৌধুরী, জান্নাতুল মাওয়া, রাইশা, আদিবা, ফারি, রোজা, ও শামীমাসহ আরও অনেক শিক্ষার্থীকে, যাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রদর্শনী সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
উক্ত প্রদর্শনী আয়োজনে কম্পিউটার সাইন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক জনাব তৌহিদ ইমাম এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার জনাব কাজী অরুনিম রহমান সার্বিকভাবে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেন।
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন, শিক্ষার্থীদের এমন সৃজনশীল উদ্যোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক পরিবেশকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং শান্তি ও মানবতার বার্তা সমাজে ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ও বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরাও প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
