বিশেষ প্রতিনিধি॥
পিঠার ঘ্রাণ আর কবিতার সুরে শনিবার বিকেলটা ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংস্কৃতিপ্রেমীদের জন্য এক অন্যরকম আনন্দময় আয়োজন। শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সংগঠন সোনালী সকাল আয়োজন করে ‘পিঠা ও কবিতার সমন্বয়ে হেমন্তের বিকেল’ শিরোনামের এই কাব্যময় অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জনপ্রিয় শিক্ষক পারভীন আক্তার। একক আবৃত্তিতে মুগ্ধতা ছড়ান সিলেট মুক্তাক্ষরের আবৃত্তিশিল্পী হিমেল মাহমুদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমির বুশরা জাহান, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের আবৃত্তিশিল্পী ফারদিয়া আশরাফি নাওমী, এবং সোনালী সকালের আবৃত্তিশিল্পী তাবাসসুম মৃধা, রূপম সূত্রধর ও ফাহিম। তাদের পরিবেশনায় মিলনায়তন জুড়ে তৈরি হয় মনোমুগ্ধকর আবহ।
বিজ্ঞাপন
সোনালী সকালের সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক দেওয়ান ফয়জুন্নাহার, নারী সংগঠক শামীমা সিকদার দীনা, কবি ও কথাসাহিত্যিক আমির হোসেন, তরী বাংলাদেশের আহ্বায়ক শামীম আহমেদ এবং কবি রুদ্ধ্র মুহম্মদ ইদ্রিস।
মিলনায়তনের বাইরে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসে বাহারি স্বাদের পিঠার স্টল। দর্শক-শ্রোতারা সংগীত, আবৃত্তি ও পিঠার স্বাদ মিলিয়ে উপভোগ করেন এক অনন্য হেমন্ত সন্ধ্যা।
সোনালী সকালের সভাপতি ফাহিম মুনতাসীর বলেন, “বাঙালির প্রিয় পিঠার সঙ্গে কবিতার মেলবন্ধন করে আমরা সাংস্কৃতিক বিকাশের আন্দোলনকে আরও সক্রিয় রাখতে চাই।”
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের সহকারী পরিচালক সুজন সরকার, যিনি অনুষ্ঠানে শ্রোতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জানান, “পিঠা ও কবিতার সমন্বয়ে সোনালী সকাল সত্যিই দারুণ একটি হেমন্ত বিকেল উপহার দিয়েছে। আবৃত্তিশিল্পীদের পরিবেশনা ছিল মনোমুগ্ধকর।”
